ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

কুতুবদিয়ায় শুরু হয়েছে লবণ চাষ

মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন ::
২০১৮-১৯ অর্থ বছরে লবণ উৎপাদনের মওসুমে নতুন লবণ ওঠা শুরু হয়েছে। নভেম্বরে মাঠ তৈরির কাজ শুরু করা হলেও খালে ছিলনা লবণাক্ত পানি। ফলে অনেক চাষি গভীর নলকূপ বসিয়ে লবণাক্ত পানি উঠিয়ে ব্যবহার করেন। যে কারণে আগাম তুলেছে লবণ ওই চাষিরা। আবহাওয়া পরিবর্তনে আগাম অর্থাৎ একমাস আগেই চাষিরা মাঠ তৈরির কাজ শুরু করেছে। এখনো অধিকাংশ মাঠ তৈরির কাজ শেষ হয়নি।

স্থানীয় বিসিক ও বিভিন্ন তথ্য মতে উপজেলার ৬ ইউনিয়নের ৬ হাজার ৭শত ৯৮ একর জমিতে লবণ চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া লেমশীখালীতে লবণ প্রদর্শনী কেন্দ্রে (বিসিক) রয়েছে ৭৯ একর লবণ মাঠ। বিগত কয়েক বছর লবণের বাম্পার ফলন সেই সাথে দামও বেশ ভাল থাকায় জমির লাগিয়ত মূল্য বেড়ে দাড়িয়েছে প্রায় দ্বিগুণ। তবে এবার লবণের দাম ভাটা পরিলক্ষিত হওয়ায় জমির দাম কিছুটা কমে গেছে।
প্রতি একর লবণ জমি একসনা ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। আবহাওয়া ভাল হলে প্রতি একরে ৭০০ মণ সাদা লবণ উৎপাদন হয়ে থাকে।

জানা গেছে, লেমশীখালী, দক্ষিণ ধুরুং, কৈয়ারবিলের বেশ কয়েকটি মাঠে নতুন লবণ দেখা যাচ্ছে।

দক্ষিণ ধুরুং দরবার সড়কের পাশে লবণ চাষি জয়নাল আবেদীন জানান, মাঠ তৈরি কাজ আগে শুরু করলেও সাগর থেকে খালে প্রবাহিত পানিতে মিঠা পানি প্রবেশ করায় লবণ মাঠে ব্যবহার সম্ভব হয়নি। তবে এবারই তিনি মাঠে ৬০ হাজার টাকা খরচ করে গভীর নলকূপ বসিয়েছেন। অন্তত ৩০০ ফুট নীচ থেকে তোলা পানিতে বেশি লবণাক্ততা মিলেছে। ফলে দ্রুত লবণ উঠছে মাঠে। তার এ নতুন প্রক্রিয়া দেখে আগাম লবণ চাষে অনেকেই মাঠে গভীর নলকুপ স্থাপন করেছেন।

তিনি আরো জানান, মাঠে নতুন লবণ প্রতিমণ ২০০ টাকা দর-দাম হচ্ছে। পুরাতন লবণ ৩০০ টাকা। তবে উৎপাদিত লবণের দাম গড়ে ৩০০ টাকা না হলে খরচ তোলা সম্ভব হবেনা বলে তিনি মনে করেন।

কৈয়ারবিলের লবণ চাষি জাকের হোছাইন জানান, গত বছর লবণ অনেক ভাল উৎপাদন হয়েছে। প্রথম দিকে দাম ভাল থাকলেও শেষের দিকে দামে মন্দা দেখা দেয়। এ ছাড়া বিদেশ থেকে লবণ আমদানির গুজবেও লবন ব্যবসায়িরা মাঠ পর্যায়ে দাম কমিয়ে দেন। কষ্ট করে উৎপাদিত লবণ ন্যায্য দামে বিক্রি করতে না পারলে চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে তিনি মনে করেন।

লেমশীখালীর লবণ চাষি আব্দুছ ছালাম বলেন, মাঠে নতুন লবণ উঠছে। বিক্রি শুরু করেননি। দাম কম বলছে লবন ব্যবসায়িরা ও বোট মালিকেরা। আশায় আছি দাম বাড়ার। নতুন লবণের দাম না বাড়লে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের পরিশ্রম বিফলে যাবে বলে তিনি আক্ষেপ করনে।

পাঠকের মতামত: